লালমনিরহাটে আইন না মেনে চালু রাখা ৪ বিড়ি ফ্যাক্টরী অবশেষে বন্ধ হলো

লালমনিরহাটের আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন গ্রুপের চারটি বিড়ি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর আগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সব ধরণের কারোনাসহ জনসমাগম বন্ধ করতে জেলা প্রশাসনের জারী করা গণবিজ্ঞপ্তি উপপেক্ষা করে কারখানাগুলো চালু ছিলো। অবশেষে এগুলো বন্ধে করলো জেলা প্রশাসন।

বুধবার, ১৪এপ্রিল বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহ. রাশেদুল হক প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে দুপুরে কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার ৪টি বিড়ির কারখানা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এ সময় শ্রমিকদের সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন।

জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সব ধরনের কারখানাসহ জনসমাগম করে চালু রাখা যাবে না বলে, এমন নির্দেশনা জারি করে সরকার। সরকারী ঘোষানার প্রেক্ষিতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু সেই ঘোষনা অমান্য করে লালমনিরহাটের আকিজ বিড়ি, নাসির গ্রুপ, বিট্রিস টোবাকো ও জাপান টোবাকোর বিড়ি কারখানা গুলো চালু রাখে ।

একই সাথে শ্রমিকদের কারখানায় যোগ দিতে চাপ প্রয়োগ করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।  কিন্তু তারা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে যোগদান করার অসন্তোষ প্রকাশ করে। একপর্যায়ে চাকরিচ্যুতির ভয়ে  শ্রমিকরা ঝুঁকি হলেও যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানায় স্থানীয়রা। পরে বুধবার(১৪এপ্রিল) সকালে দলে দলে জনসমাগম করে বিড়ি কারখানায় যোগ দেয়। এই খবর কালীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার রবিউল হাসান ও আদিতমারী উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও)মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন ৪টি বিড়ি কারখানা বন্ধ করে দেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক জানান, চাকরিচ্যুতির ভয়ে তাদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে বা কাজের জন্য তাদের নিরাপত্তা মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসও সরবরাহ করা হয়নি।

আদিতমারী উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও)মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালু না রাখায় আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার রবিউল হাসান বলেন, শ্রমিকের কথা চিন্তা করে আপাতত বিড়ি কারখানা গুলো বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে।  এরপরেও যদি কারখানা চালু করে ঊর্ধ্বতন মহলে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এনএ/রাতদিন