জমি নিয়ে বিরোধের জেরে লালমনিরহাটে মজনু মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। তার বাড়ি ওই ইউনিয়নের কুরুল গ্রামে।
বৃহস্পতিবার, ৬ জুন রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও এলাকার লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে কুরুল কালীবাড়ি এলাকার দোকানের দিকে রওনা দেন মজনু মিয়া। মাঝপথে ওয়াপদা এলাকায় উৎপেতে থাকা দুবৃত্তরা লোহার রড ও ধারোলো অস্ত্র দিয়ে মজনু মিয়ার পেটে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মজনু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই মূল আসামি তপু রায় ও লক্ষী চন্দ্র রায় বাটুল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ আলম জানান, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে জমির আইলে (আল) গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে নিহত মজনু ও প্রতিবেশি সচীন চন্দ্রের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে এলাকার লোকজন বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। তবে সেটা মানতে না পেরে সচীনের ছেলে তপু তার লোকজন নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
এবি/রাতদিন