লালমনিরহাটে বিপুল পরিমানে সরকারি ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জামাদি উদ্ধার ঘটনায় তিন স্টোরকিপারসহ ছয় জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। তিন স্টোরকিপার হলেন সিভিল সার্জন অফিসের মোয়াজ্জেম হোসেন মুরাদ, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জাকারিয়া ও আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাহাবুবুর রহমান। এছাড়া মামলার অপর তিন আসামী হচ্ছেন গত মঙ্গলবার লালমনিরহাট শহরের ড্রাইভার পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে সরকারি ওষুধ ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামসহ আটক আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেজা মিয়া ও তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন এবং রেজার ভাই হামিদুর রহমান দুলু।
লালমনিরহাট সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান আজ বুধবার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
অভিযান পরিচালনাকারি ও মামলার বাদি মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানে সরকারি ঔষধ ও মেডিকেল সরঞ্জামাদিসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেন। উদ্ধার হওয়া মেডিকেল সরঞ্জামাদির মধ্যে ১৭৫টি ওজন মাপার মেশিন, ডায়াবেটিকস চেক আপ মেশিন, মাস্কস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, প্রেসার মাপার মেশিন রয়েছে। এছাড়া ১৭ কার্টন ঔষধ জব্দ করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনের উপস্থিতিতে থানায় জব্দ হওয়া ঔষধ ও মেডিকেল সরঞ্জামাদি সিজার লিস্ট করে মুল্য নির্ধারন করা হয়েছে। মালামাল সমুহের আনুমানিক বাজার মূল্য ৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
ওইদিন রাতে পুলিশের হাতে আটক অবস্থায় আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেজা মিয়া সাংবাদিকদের জানান, গত ৫/৬ বছর থেকে তিনি বিভিন্ন হাসপাতালের স্টোরকিপার ও সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে সরকারি ওষুধ ও সরঞ্জাম পাচার করে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে বিক্রি করে আসছেন।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে সিন্ডিকেটের বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এবি/রাতদিন