লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধায় বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গরু আনতে গিয়ে পাটগ্রামে ও মাছ ধরতে গিয়ে হাতীবান্ধায় এই বজ্রপাতের শিকার হন তারা।
বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই সকালে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামের ইসলামপুর ও হাতীবান্ধা উপজেলার বেজগ্রাম এলাকায় বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত আরও দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের জহর উদ্দিনের ছেলে রাকিব হোসেন (২৪) ও রফিকুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৮)। হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব বেজগ্রামের রমজান আলীর ছেলে মন্টু মিয়া (৪৮) ও পূর্র্ব বেজ গ্রামের আফিজুল ইসলাম (৫০)। আফিজুল ইসলাম নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার হামেদ আলীর ছেলে। কিন্তু বৈবাহিক সুত্রে দীর্ঘ দিন ধরে হাতীবান্ধার পূর্র্ব বেজ গ্রামে শশুরবাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
আহতরা হলেন, পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে বাচ্চা মিয়া (২৬) ও আছির উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩০)।
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নিহত রাকিবসহ আরও কয়েকজন উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় গরু আনতে যায়। এ সময় বজ্রপাতে রাকিব ও জাহিদুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এতে বাচ্চা মিয়া ও শফিকুল ইসলাম নামে আরও দুইজন আহত হন। আহত দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নিহত মন্টু মিয়া ও আফিজুল ইসলাম উপজেলার বেজগ্রাম এলাকায় মাছ ধরতে যায়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
জেএম/রাতদিন