লালমনিরহাট সদর থানা থেকে প্রাইভেট কার গায়েব!

লালমনিরহাটের সদর থানা থেকে একটি গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। ২০০৮ সালে ওই গাড়িটি জব্দ করে পুলিশ। ঘটনায় মালখানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাকে ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে তলব করেছেন বিচারক।

গত বুধবার জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম এ নির্দেশ দেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে মাদকের মামলায় সাদা রঙের একটি টয়োটা করোলা গাড়ি জব্দ করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে গত ৩ জুলাই সেটি নিলামে তোলার কথা ছিল। কিন্তু সদর থানার গাড়িটি নিলাম কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিতে পারেনি। ১৬ জুলাই গাড়িটি দ্বিতীয় দফায় নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেবারও গাড়িটি বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হয় থানা।

তখন সদর থানার মালখানার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান মালখানার রেজিস্ট্রারের বরাত দিয়ে নিলাম কর্তৃপক্ষকে জানান, মালখানায় যে গাড়িটি জব্দ অবস্থায় আছে, সেটি ২০১৪ সালে মাদকের আরেকটি মামলায় জব্দ করা আলামত। ২০০৮ সালে জব্দ করা গাড়িটি পাওয়া যাচ্ছে না। এ দুটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও চেসিস নম্বর একই হলেও ইঞ্জিন নম্বর আলাদা।

এ অবস্থায় ২০০৮ সালে জব্দ করা গাড়িটির বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ২২ সেপ্টেম্বর এসআই মিজানুরকে আদালতে তলব করেছেন বিচারক।

আদালতের আদেশে বলা হয়, ২০০৮ সালের মামলাটির আলামত হিসেবে জব্দ করা ব্যক্তিগত গাড়িটি সংরক্ষণে দায়িত্বে অবহেলা করা হয়েছে। সে কারণে এ ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

এসআই মিজানুর রহমান গতকাল সোমবার বলেন, ‘২০০৮ ও ২০১৪ সালে যখন মামলা দুটি হয়, তখন আমি এখানে কর্মরত ছিলাম না। আমি নিলাম কমিটিকে যা বলেছি, তা আমার দায়িত্বে থাকা মালখানার রেজিস্টার অনুযায়ী বলেছি।’

এনএইচ/রাতদিন