প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটির মেয়াদ ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত হয়নি।
চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কয়েকটি ধাপে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বর্তমান পরিস্থিতির ভয়াভয়তা বেড়ে যাচ্ছে। ঘরের বাইরে বের হওয়াটা আরও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে না ফেলে তাদের নিরাপত্তায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ রাখার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। বর্তমান ছুটি শেষ হওয়ার আগেই আগামী রমজান ও ঈদের ছুটি পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। প্রয়োজনে ঈদুল ফিতরের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে।
সচিব বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে রাখতে বেশ কিছু বিকল্প পন্থা হাতে নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে সংসদ টেলিভিশনে শ্রেণি পাঠ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ভিন্ন আরও কিছু পন্থা আমরা চিন্তা-ভাবনা করেছি। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে সেসব বাস্তবায়ন করা হবে।
এমনিতে বছরের অর্ধেক সময় বিভিন্ন কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে যাতে কোনো ব্যাঘাত না হয়, তাও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ছুটি বৃদ্ধির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, সকল আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে আমরা ভাবছি। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বিকল্প পন্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হবে।
চলতি সপ্তাহ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাস রেকর্ডি করে টেলিভিশনে তা সম্প্রচার শুরু করা হবে। বাসায় বসে শিক্ষার্থীরা সিলেবাস অনুযায়ী পড়ালেখা করার সুযোগ পাবে।
জেএম/রাতদিন