শিশুদের স্মার্টফোনের আসক্তি কমবে ‘চিকেনাইজেশন’ পদ্ধতিতে

লিংক- https://samakal.com/international/article/19115202/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF

এবার স্মার্টফোনের প্রতি শিশুদের আসক্তি কমাতে সম্প্রতি অভিনব এক পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা করছে ইন্দোনেশিয়ার এক শহর কর্তৃপক্ষ। ফোনের পরিবর্তে যাতে তারা নিজ নিজ মুরগীর বাচ্চা পালনে আগ্রহী হয় সেজন্য বিনা মূল্যে শিশুদের মুরগী বাচ্চা সরবরাহ করবে তারা।

জানা গেছে, মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখতে আগামী সপ্তাহ থেকে ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং শহরের প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চার দিন বয়সী দুই হাজার মুরগীর বাচ্চা বিতরণ করবে ওই শহর কর্তৃপক্ষ।

রাজধানী জাকার্তা থেকে দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরের এই শহর কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্পটিকে ‘চিকেনাইজেশন’ বলে অভিহিত করেছে।

তারা জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই স্কুলে আসার আগে ও পরে তাদের নতুন পোষা প্রাণীকে খাওয়াতে হবে। যাদের বাড়ির পিছনে জায়গা নেই তারা বাড়িতে বা স্কুল প্রাঙ্গণে মুরগীর বাচ্চা রাখতে পারবে।

জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খাঁচায় এক ডজন মুরগীর বাচ্চা শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সেখানে লেখা ছিল, দয়া করে আমার ভালো যত্ন নিন।

বান্দুং শহরের মেয়র ওবাদ মুহাম্মদ ড্যানিয়াল, এ প্রকল্পের মধ্যে একটা শৃঙ্খলার ব্যাপার আছে বলে মনে করেন।

তার মতে, প্রকল্পটি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের ফোনের আসক্তি কমানোর জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো প্রবর্তিত শিক্ষা সম্প্রসারণের জাতীয় পরিকল্পনারও একটি অংশ এটি।

অবিভাবকদের একজন, মাদার ইয়াহ রত্নসারী এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ স্মার্টফোন নিয়ে খেলার চেয়ে মুরগীর বাচ্চা পালন শিশুদের জন্য অনেক বেশি উপকারী্।

তিনি আশা করেন, এ প্রকল্প আগামীতে তার ছেলেকে খামারি হতে উৎসাহিত করবে।

এনএইচ/রাতদিন