উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম ও শেষ ধাপে ২০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার, ১৮ জুন সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
তবে গ্রীষ্মকালীন বিবেচনায় এবং আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা ঠেকাতে ভোটের সময় ১ ঘণ্টা পেছানো হয়েছে।
এদিকে সকাল ৯টায় ভোট শুরুর পর বিভিন্ন উপজেলায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বেড়েছে। এ ছাড়া ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, শেষ ধাপে ৪ উপজেলার সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে- গাজীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর।
ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় বিজয়নগর উপজেলায় ৫ প্লাটুন এবং রাঙ্গাবালী, মঠবাড়িয়া ও তালতলী উপজেলায় ৩ প্লাটুন করে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আর কামারখন্দ ও তালতলী উপজেলায় আজ সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে।
শেষ ধাপে যে সকল উপজেলায় ভোট হচ্ছে– শেরপুরের নকলা, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, বরগুনার তালতলী, গাজীপুর সদর, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, মাদারীপুর সদর, রাজবাড়ীর কালুখালী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর, রাজশাহীর পবা, নেত্রকোনার পূর্বধলা, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া এবং খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হয় ১০ মার্চ। দ্বিতীয় ধাপ ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপ ২৪ মার্চ এবং চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে তৃতীয় ধাপে চার উপজেলায় এবং চতুর্থ ধাপে ছয় উপজেলা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করে ইসি।
জাতীয় নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এ উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। ফলে বিভিন্ন উপজেলায় মূলত আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থীই বেশি।
এদিকে উপজেলার কেন্দ্রে কেন্দ্রে সোমবারই ব্যালটসহ অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে যায়। এ ধাপে ৪ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব (ইসি) মো. আলমগীর জানান, এ ধাপের নির্বাচনে কয়েকটি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় ইসি উদ্বিগ্ন নয়।
তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতি নিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয় অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। কাজেই আশা করি, ভোটার উপস্থিতি সন্তোসজনক।
এনএইচ/ রাতদিন