সংকটে শিলিগুড়ি শহর , বায়ুদূষনের মাত্রা ছাড়িয়েছে সকল রেকর্ড

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরে বায়ুদূষনের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপযস্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। দূষনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঘরে ঘরে শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে অনেকটাই।

ওয়েস্ট বেঙ্গল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড জানিয়েছে, এই শহরের বাতাসে পার্টিকিউলেট ম্যাটার ২.৫ (পিএম ২.৫) এর মাত্রা সহনীয় মাত্রার অনেক উপরে এবং নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডের মাত্রাও অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। বায়ুদূষকের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন ঘরে ঘরে শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। মহিলা ও বাচ্চারা এই সমস্যার কবলে পড়ছেন অনেক বেশি।

শুধু তাই নয়, শহরের বেশকিছু ডাক্তারের ভাষ্য অনুযায়ী, এইসব বায়ুদূষক সাধারণ মানুষের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

শহরের পরিবেশবিদদের মতে, কিউবিক মিটার প্রতি পিএম ২.৫-এর মাত্রা ঘন্টা প্রতি ৫৫ থেকে ৬০-এর বেশি হলেই সেটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। সেখানে ওয়েস্ট বেঙ্গল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের অটোমেটিক স্টেশনের সূত্র অনুযায়ী, চলতি মাসে শহরের বাতাসে পিএম ২.৫ সূক্ষ্মকণার মাত্রা বেশিরভাগ সময়ই কিউবিক মিটার প্রতি ১০০-র আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। আর প্রায় প্রতিদিনই এর সর্বোচ্চ মাত্রা ২০০ এবং ৩০০-র গন্ডিও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এটি সর্বকালের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবী করেছে সূত্রটি।

শিলিগুড়ি শহরে যেমন একদিকে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা, অন্যদিকে গাছের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। গাড়ি থেকে বের হওয়া দূষিত ধোঁয়াই হচ্ছে এই দূষণের মূল কারণ। শহরে যানজট বেশি হওয়ায় গাড়ি থেকে বেরোনো নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৫টার মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত থাকে।

সারাদেশে গাড়ির সংখ্যা ৮-১১ শতাংশ বাড়লেও শিলিগুড়িতে বেড়েছে ২০০ শতাংশ । এই পরিস্থিতিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে বৃক্ষরোপণকেই একমাত্র বিকল্প বলে মেনে নিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

জেএম/রাতদিন