সগায় খালি নাম লেখাইছে, আর হামার মন্ত্রী বাড়িত আসি খাবার দিছে

‘কতবার চেয়ারম্যান-মেম্বারেরটে গেছি, তাও হামাক ত্রাণ দেয় নাই। খালি নাম লেখি নেয়। আর হামার মন্ত্রীর লোকজন ঝড়িত ভিজি বাড়ি যেয়া টোকেন দিছে। তাতে ত্রাণ পাছি।’

ব্যাগ বোঝাই ত্রাণ পেয়ে খুশিতে কেঁদেই ফেললেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের বাসিন্দা বৃদ্ধা আম্বিয়া বেগম।

আনন্দে এসময় আম্বিয়ার দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিলো। ডান হাতে খাবাবের বড়সর একটা বস্তা। বাম হাতে চোখের পানি মুছে বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শ্যাখ হাসিনা আর হামার মন্ত্রী (সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ) থাইকলে হামার এলাকার কোনো চিন্তা নাই। হামার এলাকার মানুষ না খ্যায়া মইরবে না। দোয়া করি, হামার মন্ত্রী মেলাদিন বাঁচি থাউক।

শুধু আম্বিয়া নন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের পাঠানো ত্রাণ পেয়েছেন উপজেলার প্রায় ৫ সহ¯্রাধিক অসহায় মানুষ। তারা বলছেন, মন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে যা করেছেন, এভাবে এলাকার বিত্তবানরা এগিয়ে এলে একজন কর্মহীন মানুষও অন্তত না খেয়ে থাকবে না।

জানা গেছে, লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল সকাল ৯টায় কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম শিশু নিকেতনে অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছোট ভাই ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।

এরইমধ্যে ৪টি ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রথমধাপে মন্ত্রীর পাঠানো চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, লবণসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী ১০ হাজার গরীব অসহায় পরিবারদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। বিতরণ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করতে নিয়মিত তদারকী করছেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। তাছাড়াও স্থানীয় নেতাকর্মীরা ত্রাণ বিতরণের সহায়তা করছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, প্রথম দফায় দুই উপজেলার অন্তত ১০ হাজার মানুষকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। এরপর হোটেল শ্রমিক, ক্ষুদ্র দোকানদার, জেলেসহ বিভিন্ন পেশার নিম্ন আয়ের মানুষকেও খাদ্যসামগ্রী প্রদান করবেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। এ জেলার মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সে দিকে লক্ষ্য করে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।