নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের সোনালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতিতে ১৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা মাসুদ রানাকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বগুড়া থেকে গত বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ভোরে দিনাজপুরের বিরল থেকে ডাকাতির ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আতাউর রহমান জানান, সোনালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতিতে ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা মাসুদ রানাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গত বুধবার রাতে। সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পালের নেতৃত্বে বগুড়া শহরের শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকার তাঁর খালার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
সে ঠাকুরগাঁও সদরের ভূল্লীর বাজারের কুমারপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে এবং পূর্বে গ্রেপ্তার হওয়া সমিতির ফিল্ড সুপারভাইজার আলমগীর হোসেনের শ্যালক। পরে রাতেই তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তিতে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধুকুরঝাড়ির গোবিন্দপুরের ফুফু আইমন বিবির বাড়িতে বিশেষ কায়দায় রাখা ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
সৈয়দপুর থানার ওসি তদন্ত আবুল হাসনাত খান জানান, গত ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় সৈয়দপুর শহরের বিচালীহাটিস্থ সোনালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতিতে ডাকাতি ঘটনার মূল হোতা মাসুদ রানা। অফিসের সুপারভাইজার আলমগীর হোসেনের পরিকল্পনায় তাঁর শ্যালক মাসুদ রানাসহ মোট ৫জন ওই ডাকাতিতে অংশ নেয়। আটক মাসুদ রানা প্রাথমিকভাবে ৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ডাকাতি করেছে বলে পুলিশকে জানায়।
সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, সমিতির পাশের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামীকে সনাক্ত করা হয়েছে। আত্মগোপনে থাকা অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা চলছে। এ সময় তিনি বলেন, সমিতির ম্যানেজার ও মামলায় বাদী ১৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ডাকাতির কথা মামলায় উল্লেখ করলেও গ্রেপ্তারকৃত আসামী মাসুদ রানা ৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, সৈয়দপুর শহরের শহীদ জহরুল হক সড়কস্থ সোনালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির কার্যালয়ে গত ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় এক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ৫ সদস্যের ডাকাত দল সমিতির ম্যানেজার জাকারিয়া সরকার এবং দুই সহকারী ফিল্ড সুপারভাইজার আলমগীর হোসেন ও ইলিয়াছ হোসেনকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে সমিতির ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৯ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন ২৯ এপ্রিল সমিতির ম্যানেজার জাকারিয়া সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামী করে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এনএইচ/রাতদিন