সৈয়দপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ, সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের জিয়ারবাজারে ঢেলাপীর-হাজারীহাট সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া ওই এলাকার অসহায় গরীব, দুস্থ মানুষেরা এই অবরোধে অংশগ্রহণ করে।

বুধবার, ১৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ এনে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে এলাকার কয়েক শতাধিক শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষ।

পরে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার পরিমল কুমার সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।

অবরোধকারীদের অভিযোগ, সৈয়দপুর উপজেলার ৪ নম্বর বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর লোকজন নিয়ে দুইটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েক বস্তা ত্রাণের চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এক গ্রাম পুলিশের বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনাটি টের পান এলাকার লোকজন। এ সময় তারা সরকারি ওই ত্রাণের চাল আটক করেন। পরে চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী সেখানকার লোকজনকে নানা অজুহাত দেখিয়ে ত্রাণগুলো রাতেই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের শাস্তি এবং কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে বলে জানান অবরোধকারীরা। বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এই অবরোধ অব্যহত থাকে।

বুধবার রাতে মুঠোফোনে বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী বলেন, ওই রাতে তিনি নিজেই তাঁর ইউনিয়নের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষজনকে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েছিলেন। ১২১ টি প্যাকেট দুইটি ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা নিয়ে বিতরণ করা হচ্ছিল। আর প্রতিটি প্যাকেটে ১০ কেজি করে ত্রাণের চাল এবং তাঁর নিজের অর্থে কেনা ২ কেজি করে আলু ছিল। দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে ত্রাণ বিতরণকালে একটি অটোরিকশা গ্রাম পুলিশ তাঁর বাড়ির সামনে রেখে রাতে খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় লোকজন তা দেখতে পেরে সেখানে তারা হৈ চৈ করতে থাকেন। পরে আমি ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করে সে সব ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ে আসি। এখানে ত্রাণ আত্মসাতের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।

সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে ওই ইউনিয়নে সরকারিভাবে বরাদ্দ ও বিতরণকৃত ত্রাণের মধ্যে কোন গড়মিল পাওয়া যায়নি। তবে রাতের বেলা ত্রাণ বিতরণ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দেখভাল করছেন ইউএনও স্যার। তিনিই এ বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন।’

জেএম/রাতদিন