স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়ে গুরুতর অসুস্থ খালেদা, চিকিৎসায় উদাসীন পরিবার-দল

দল ও পরিবারের সদস্যদের অবহেলা ও সিদ্ধান্তহীনতায় স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার। জীবনের পড়ন্ত বিকেলে তিনিএখন ঠিক মতো কাউকে চিনতে পারছেন না, এমনকি মাঝেমধ্যে উল্টাপাল্টা কথাও বলছেন।

সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করাসহ কিছু চিকিৎসার জন্য তাকে কয়েকদিনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে।

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রেখে কিছু ইনজেকশন দেয়াসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা তারা লন্ডনে করাতে চেয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় বিবেচনায় সৌদি আরবেও যাওয়ার কথা ছিল।

তবে বর্তমানে শারীরিক অবস্থার কারণে খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে আগ্রহী নন। এ কারণেই তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা মনে করছেন, দেশের কোনো হাসপাতালেই তার চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার এখন মূলত তিনটি সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, ডায়াবেটিসের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত রয়েছে। দ্বিতীয়ত, তার পায়ের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে। তৃতীয়ত, খালেদা জিয়ার স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

এদিকে এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার স্বজনদের অভিযোগ, তার চিকিৎসার বিষয়ে দলীয় নেতাসহ তারেক রহমানের উদাসীনতা রয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই খালেদার চিকিৎসা নিয়ে চরম অবহেলা করা হচ্ছে।

তারা জানান, বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন খালেদা। তিনি আগের মতো আর কারো সঙ্গে কথা বলেন না। কথা বললেও প্রায়ই এলোমেলো কথা বলেন। কাউকে মাঝেমধ্যে ঠিকমতো চিনতে পারেন না। খাওয়া-দাওয়াও নিয়মিত করেন না। এমন পরিস্থিতিতে তাকে নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতি মামলায় ২ বছরের অধিক সময় কারাভোগের পর সরকারের অনুকম্পায় গত মার্চে জামিনে মুক্ত হন খালেদা জিয়া। বর্তমানে গুলশানের ভাড়া বাড়ি ফিরোজায় অবস্থান করছেন তিনি।

জেএম/রাতদিন