হাতীবান্ধায় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে, ধানের শীষ সমর্থকের পিটুনির শিকার বৃদ্ধ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচারনা চালানোয় এক বৃদ্ধকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আব্দুল জলিল (৫৫) নামে ওই বৃদ্ধকে পরাজিত বিএনপি প্রার্থীর ছেলে রানা ও তার সহযোগিরা মারধর করে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মঈনুুল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে গতকাল বৃহস্পতিবার, ২২অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আহত আব্দুল জলিল উপজেলার পাটিকা পাড়া এলাকার মৃত কাল্টু শেখের ছেলে। 

এরআগে বুধবার, ২১ অক্টোবর রাতে উপজেলার পাটিকা পাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আব্দুল জলিল বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

ঘটনার রাতেই আহত জলিল বাদি হয়ে রানাকে প্রধান আসামী করে আরও প্রায় ১৫ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন,  উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে পরাজিত বিএনপি প্রার্থী সফিয়ার রহমানের ছেলে রানা (২৮), সাগর (২৪), একই এলাকার বজলুল হকের ছেলে আকাশ (২২),  জাহিদুল ইসলামের ছেলে মঈনুল (২০) ও মহুবরের ছেলে মিশু (২০)। এরা সকলে বিএনপি’র প্রার্থীর সমর্থক।

জানাগেছে, জলিল ভোটের আগে জলিল নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালায়। এতে বিএনপি’র ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী সফিয়ার রহমানের দুই ছেলে ও সমর্থকরা জলিলকে প্রচারনা চালাতে নিষেধ করে হুমকি ধামকি দেয়। ২০অক্টোবর উপ-নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী জয়লাভ করেন।

এরপর গত ২১ অক্টোবর রাতে জলিল পারুলিয়া বাজার থেকে বাই সাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে পারুলিয়া-কেতকিবাড়ি সড়কে জলিলের পথ রোধ করে অভিযুক্তরা। ‘নৌকার প্রচারনা করার সাধ মিটিয়ে দাও’ বলেই মারধর শুরু করে তারা৷ জলিলের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। 

এ বিষয়ে আব্দুল জলিল বলেন, নৌকার প্রচারনা করায় বিএনপি’র ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী সফিয়ার রহমানের দুই ছেলে রানা ও সাগর আর তার লোকজন বুধবার রাতে আমার পথরোধ করে আমাকে মরধর করে।

অভিযুক্তর সেলফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঈনুুল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

জেএম/রাতদিন