শিবম বসিত একজন ইথিক্যাল হ্যাকার। তার বয়স যখন ১৯ তখন হ্যাকিং থেকেই জীবনের প্রথম আয় করেন তিনি। তবে সেই আয় নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগে ছিলেন তার পরিবার। কারণ, অল্প বয়সেই ছেলে কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কি কাজ করে সেটিও স্পষ্ট ছিলো না তাদের কাছে। ভয়টা ছিলো সেখানেই।
কিন্তু মাত্র চার বছরের ব্যবধানে বাবা-মায়ের সেই ভয় তো দূর হয়েছেই বরং এখন ছেলে শিবমকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই তাদের। কারণ তার ছেলে এখন ‘ভালোর’ জন্যই কাজ করছেন।
চলতি বছর বিভিন্ন বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে এবং ব্যক্তিগতভাবে কিছু প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যারের ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে শিবম আয় করেছেন এক লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় এক কোটি ৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৮ টাকা।
শিবম এখন সান ফ্র্যান্সিসকো ভিত্তিক হ্যাকারওয়ানের নিবন্ধিত সদস্য। এর মাধ্যমেই তিনি ত্রুটি ধরতে কাজ করেন স্টারবাকস, ইনস্টাগ্রাম, গোল্ডম্যান সাস, টুইটার, জোমাটো এবং ওয়ানপ্লাসে।
২৩ বছর বয়েসী শিবম বলেন, একসময় আমার পরিবারের লোকজনও ভাবতো আমি অন্যদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু বিষয়টিতো তেমন নয়ই, বরং এটি খুবই ইতিবাচক। আমি তাদের ত্রুটি ধরিয়ে দিচ্ছি, এর পরিশ্রমের দামই দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
এটাকে শিবম ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো স্বাধীন পেশা হিসেবে নিয়েছেন।এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে এখন প্রতিবছর ৩০ শতাংশ করে ইথিক্যাল হ্যাকিং থেকে আয় বাড়ছে। গত বছর বিশ্বব্যাপী যে পরিমাণ বাউন্টি প্রোগ্রাম থেকে আয় হয়েছে তার ১৯ শতাংশই করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর ১০ শতাংশ আয় নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত।
হ্যাকারওয়ান ‘হ্যাকার পাওয়ার সিকিউরিটি রিপোর্ট ২০১৯’ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভারতে ২০১৮ সালে এই ইথিক্যাল হ্যাকাররা ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ২৪ মার্কিন ডলার আয় করেছে।
জেএম/রাতদিন