সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রায় ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে একটি তালিকা করেছে দেশটির সরকার। তাদের দাবি, এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিমানবন্দর ব্যবহার করে দেশটিতে গেছে। এ কারণে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চাইছে সৌদি।
সম্প্রতি বাংলাদেশকে একাধিক চিঠি দিয়ে বিষয়টি সমাধান করতে বলেছে সৌদি আরব। বিষয়টি সম্প্রতি আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সম্মেলনের আলোচনাতেও এসেছে। ঢাকায় ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় দুই দেশের যৌথ কমিশনের বৈঠকে সৌদি আরব প্রসঙ্গটি তুলতে পারে বলে দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলোর বরাতে জানিয়েছে প্রথম আলো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এর আগে সৌদি আরব দুইশ, তিনশ, পাঁচশ রোহিঙ্গার তালিকা দিত ফিরিয়ে নেয়ার জন্য। বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে তাদের ফেরত আনা হতো। গত বছরের শেষ দিকে সৌদি সরকার আমাদের কাছে ৪২ হাজার রোহিঙ্গার একটি লম্বা তালিকা দিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান নীতি ও অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে কম সংখ্যক বিদেশিকে গ্রহণ করতে চাইছে সৌদি আরব। এজন্য এই তালিকা বানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরো বলেন, সৌদিতে অবস্থানরত আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠাতে চায় তারা। এই তালিকাটি তারই প্রথম ধাপ। এ বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ রোহিঙ্গাদের বিষয়টি ২০০৭ সালে প্রথম উত্থাপন করে সৌদি সরকার। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় তারা আমাদের তালিকা দিয়েছে। রোহিঙ্গারা যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক না, সেই কারণে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া আমাদের জন্য সমস্যা।
তিনি জানান, এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষকে আমাদের বক্তব্য জানানো হয়েছে। ওই সব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে সেখানে গেছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল সৌদি সরকার। কিন্তু মিয়ানমার তাদের ফেরত নিতে রাজি হয়নি।
জেএম/রাতদিন