ভাষা আন্দোলনে প্রথম শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ। যাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাংলা রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা পেয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি।
তবে দীর্ঘ ৬৭ বছরেও চিহ্নিত হয়নি জাতীর এই সূর্য সন্তানের কবরটি। সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি তার জন্মভিটাও।
২০০৬ সালে ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদের জন্ম ভূমি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার পারিল গ্রামের নাম পরিবর্তন করে রফিক নগর করা হয়।
স্থানীয় সমাজ হিতৈষী লে. কর্নেল (অব.) মজিবুল ইসলাম খান পাশার দানকৃত ৩৪ শতাংশ জমির ওপর ২০০৮ সালে নির্মাণ করা হয় ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। তবে দীর্ঘদিনেও তা পূর্ণতা পায়নি।
সেখানে শহীদ রফিকের দুটি ছবি ও কিছু বই ছাড়া স্মৃতি বিজরিত কিছুই নেই। স্মৃতি জাদুঘরে লাগেনি আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ছোয়া। এই ভাষা সৈনিকের ব্যবহৃত চেয়ার টেবিল, পাঞ্জাবী, লুঙ্গী এবং নিজ হাতে তৈরি নকশা করা রুমালসহ অনেক জিনিসপত্র স্বজনদের হেফাজতে থাকলেও এর কিছুই ঠাঁই মেলেনি স্মৃতি জাদুঘরে।
শহীদ রফিকের ভাই খোরশেদ আলম বলেন, শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদকে কবর দেওয়া হয় ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে। এখনো তার কবরটি চিহ্নিত করা হয়নি। কবরটি চিহ্নিত করে নামফলক লাগানো হলে দোয়া-দরুদ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা যেতো।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, প্রতিবছর রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের বিশিষ্ঠ ব্যক্তিদের পদক দেওয়া হয়। অথচ যাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পেয়েছে তাদের ভাগ্যে জোটেনি কোন পদক।
সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহেলা রহমতুল্লাহ শহীদ রফিকের বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে কথা বলবেন বলে জানান। তথ্য সূত্র : কালের কন্ঠ
এবি/রাতদিন