৯০৯ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস, ৪১টিতে শতভাগ ফেল

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে গড় পাসের হার শতকরা ৭৯.৯৩ ভাগ। এ ছাড়া জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৬ শিক্ষার্থী।

আজ বুধবার, সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল তুলে দেওয়া হয়। তারপরই প্রধানমন্ত্রী কম্পিউটারে বাটন চেপে ফল প্রকাশ করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফলের কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পরীক্ষায় আরো ভালো ফলের জন্য শিক্ষার মান বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় তিনি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিনন্দন জানান এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

গত ১ এপ্রিল সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হয় মে মাসের মাঝামাঝি সময়। নয় হাজার ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।

এর মধ্যে ৯০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী, অর্থাৎ শতভাগ পাস করেছেন। অন্যদিকে, ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এবার পাস করতে পারেননি বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, ‘এবার আমাদের পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছে নয় লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। ফেল করেছে তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন।’

‘আট শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় হার ৭৯.৯৩ ভাগ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৭১.৮৫ ভাগ, কারিগরি বোর্ডে ৮২.৬২ ও মাদ্রাসা বোর্ডে ৮৮.৫৬ ভাগ,’ যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।  

ডা. দীপু মনি আরো বলেন, জিপিএ ৫ পেয়েছে শতকরা ৩.৫৪ ভাগ শিক্ষার্থী। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪১ হাজার ৮০৭ জন, কারিগরি বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে তিন হাজার ২৩৬ জন আর মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে দুই হাজার ২৪৩ জন।

এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৮ হাজার ৪৫১ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এক লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ জন পরীক্ষা দেয়। মোট কেন্দ্রসংখ্যা ছিল দুই হাজার ৫৮০টি।

এবি/রাতিদিন