রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।
বুধবার, ২৪ জুলাই দুপুরে বরগুনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
মিন্নিকে দিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়েছে অভিযোগ করে তার বাবা বলেন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পুলিশ মিন্নির জবানবন্দি নিয়েছে। প্রভাবশালী মহলকে বাঁচাতে পুলিশ এ ঘটনায় মিন্নিকে ফাঁসাচ্ছে। তাই এ মামলার তদন্ত পিবিআইতে স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছি।
স্বামী রিফাতকে বাঁচাতে মিন্নি আপ্রাণ চেষ্টা করেছে দাবি করে মোজাম্মেল হক বলেন, আপনারা সবাই ভিডিও ফুটেজে দেখেছেন রিফাতকে বাঁচাতে মিন্নি জীবন বাজি রেখেছে। শত চেষ্টা করেও তাকে রক্ষা করতে পারেনি।
মিন্নিকে জড়িয়ে রিফাত শরীফের বাবার অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে মোজাম্মেল হক কিশোর বলেন, কুচক্রী মহল এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ কলকাঠি নাড়ছেন। তিনি প্রকৃত আসামিদের বাঁচাতে মিন্নিকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত করার চেষ্টা করছেন।
রিফাত ফরাজী ও রিশানকে রিফাত শরীফ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন মিন্নির বাবা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের আগে রিফাতের সঙ্গে বরগুনা জেলা পরিষদের প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সামসুন্নাহার খুকির বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি নিয়ে সামসুন্নার খুকি তার বোনের ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর কাছে নালিশ করেন। এরপর রিফাত ও রিশান ফরাজী রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বিষয়টি মিন্নি আমাকে জানিয়েছিল।
রিফাত ও রিশান ফরাজী সামসুন্নাহার খুকিকে মা বলে ডাকতেন জানিয়ে মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘আমার ধারণা বাকবিতণ্ডার প্রতিশোধ নিতেই রিফাত ও রিশান ফরাজী রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা করে ও হত্যাকাণ্ডের অগ্রভাগে থাকে।’
সংবাদ সম্মেলনে মিন্নির মা জিনাত জাহান মনি, ছোট বোন ছামিরা মেঘলা, ছোট ভাই আবদুল মুহিত ক্বাফিও উপস্থিত ছিলেন।
এইচএ/রাতদিন