কাঠের পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে এলপি গ্যাস ব্যবহারের অনুমতি পেল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ৩ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বেতন ও ভাতাদি আদেশ, ২০১৫ এ ‘জ্বালানি কাঠ ভাতা’র পরিবর্তে ‘এলপি গ্যাস’ করা হলো। একই সঙ্গে ভাতার হার বাড়িয়ে ২৯৩ টাকা ৩৩ পয়সা করা হলো।
জানা গেছে, জ্বালানি কাঠ ভাতা বাবদ বিজিবির জন্য বর্তমানে বার্ষিক ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এলপি গ্যাসের বরাদ্দ দেয়া হলে এ অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় দ্বিগুণ। নতুন আদেশ অনুযায়ী ৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা অতিরিক্ত প্রয়োজন হবে।
বিজিবি’র সূত্র মতে পর্যালোচনায় দেখা যায়, বর্তমানে বিজিবি সদস্যদের দৈনিক মাথাপিছু ৩ পাউন্ড হারে মাসে প্রায় ৪১ কেজি জ্বালানি কাঠের ভাতা পান। সীমান্ত ফাঁড়িতে কর্মরত বিজিবি সদস্যদের জন্য মাসিক জ্বালানি কাঠভাতা ৫২ টাকা ছিল। পরবর্তীতে তা’ বৃদ্ধি করে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজিবির কিছুসংখ্যক বিওপিতে এলপি গ্যাসে রান্না করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ৮৮০টাকার ১২ কেজি ওজনের একটি গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে বিওপিতে কর্মরত ৩০ জন সদস্যের তিনদিনের রান্না করা যায়। সেই হিসাব মতে ১ কেজি এলপি গ্যাসের মূল্য দাড়ায় ৭৩.৩৩ টাকা। এতে জনপ্রতি মাসিক চার কেজি এলপি গ্যাসের প্রয়োজন। আর এর মূল্য দাড়ায় ২৯৩ টাকা ৩৩ পয়সা।
হিসাব অনুযায়ী দেশে বিজিবির মোট সদস্য সংখ্যা ৫১ হাজার ৮৮২ জন। জনপ্রতি মাসিক জ্বালানি কাঠভাতা ১৭০ টাকা হারে এ জনবলের জন্য জ্বালানি কাঠভাতা বাবদ বছরে প্রয়োজন ১০ কোটি ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার ৭২০ টাকা।
অপরদিকে এ জনবলের জন্য এলপি গ্যাস বরাদ্দ দেয়া হলে বছরে প্রয়োজন হবে ১৮ কোটি ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ টাকা।
এসকে/রাতদিন