রংপুর মহানগরীর ৩২ নং ওয়ার্ডের জিয়াতপুকুর মাজার শরীফ দাখিল মাদরাসা। শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ১৮। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে বেতনের সরকারি অংশ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করে আসছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আশা ছিল সম্প্রতি ঘোষিত নতুন তালিকায় এমপিওভুক্তি হবে। কিন্তু সেই তালিকায় প্রতিষ্ঠানের নাম না থাকায় হতাশ এখানকার ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবার। শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ, এমপিওভুক্ত হতে নীতিমালা অনুযায়ী সকল যোগ্যতা থাকার পরেও অজানা কারণে মাদরাসাটিকে এমপিওভুক্ত করা হয়নি।
জানা গেছে, রংপুর নগরীর উপকন্ঠ মডার্ণ মোড় থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে ধর্মদাস জিয়াতপুকুর নামক এলাকায় ২০০১ সালে তৎকালীন তামপাট ইউনিয়নের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটির সাবেক প্যানেল মেয়র আবুল কাশেম জিয়াতপুকুর মাজার শরীফ দাখিল মাদ্ররাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১ একর ২ শতক জমির উপর গড়ে উঠেছে অবকাঠমো। বর্তমানে মাদরাসাটিতে ৩৪৫জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। কর্মরত আছেন ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী। ২০০৪ সালে পাঠদানের অনুমতি ও ২০০৬ সালে প্রথম একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। এরই মধ্যে কয়েকবার একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়ন করার ফলে স্বীকৃতির মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে ২০২১ সাল পর্যন্ত। শুরু থেকেই দাখিলসহ প্রতিটি পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করছে মাদরাসাটির শিক্ষার্থীরা।
মাদরাসার সহকারি শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বলেন, আশা করেছিলাম এবছর এমপিওভুক্ত হবে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আমাদের প্রতিষ্ঠানটি এমপিওর তালিকায় আসেনি। তার পরেও আমরা আমাদের সাফল্য ধরে রাখব, আশা করি পরবর্তী তালিকায় আমাদের প্রতিষ্ঠানটির নাম আসবেই।
মাদরাসার সুপার মাওলানা আবুল কাশেম বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী সকল শর্ত পুরণ করার পরেও এমপিও ভুক্তি না হওয়াতে খুবই কষ্ট পেয়েছি। কারণ আর কতদিন এভাবে বিনা বেতনে পাঠদান করাবো। আমাদের সংসার তো আর চলে না। মানবেতর জীবন যাপন করছি। ভেবেই পাচ্ছি না এখন আমরা শিক্ষক-কর্মচারিরা কি করবো।
মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারি বিনা বেতনে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছে। প্রতিবছর সন্তোষজন ফলাফল অর্জন করছে। আশা ছিল এবার মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত হবে। কিন্তুু তা হলো না। আশা করি আগামীতে অবশ্যই এই মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত করা হবে। এজন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনাও করেন তিনি।
জেএম/রাতদিন