নকশা না মেনে রাজধানীর নিকেতনে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগে ঢাকাই ছবির সুপারস্টার শাকিব খানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার, ১৮ নভেম্বর রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফ হোসেন এ জরিমানা করেন।
জরিমানার বিষয়ে শাকিব খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা কী ধরনের কথা ! হঠাৎ করে এসে এমন আচরণ করবে ? আমি তো আর বাড়ির ডিজাইন করিনি, ডিজাইন করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা । আমাকে কোনো নোটিশও দেয়া হয়নি। হুট করে এসে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করল। পাশের বাসায় কিছুই করা হলোনা । আমাকে ১০লাখ টাকা,আরেক জনকে ৫ লাখ টাকা ? আইনতো সবার জন্য সমান হওয়া দরকার ।’
এর আগে সকালে রাজউকের অভিযানের সময় ওই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন শাকিব খানের ভগ্নিপতি ও বাড়িটির কেয়ারটেকার । ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে বাড়িটির কাগজপত্র দেখালে তাতে নকশা ও নির্মাণে অসংগতি পাওয়া যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শাকিব খানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অনাদায়ে এক বছরের জেল ।
শাকিব খান বলেন, যখন তারা এসেছেন তখন তো আমি দেশের বাইরেও থাকতে পারতাম। বারান্দার বর্ধিত অংশ নিয়ে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তারা। তাতেই ১০ লাখ টাকা জারিমানা! টাকা কী এতই সস্তা ?
তিনি আরো বলেন,‘পাশের বাড়ির নকশা একইভাবে করা, তাদের তো কেউ কিছু করল না প্রশ্ন রেখে শাকিব খান বলেন, আমার সঙ্গে কেন এমন করা হবে ? দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এমন আচরণে আমি সত্যিই বিস্মিত!’
এটা তো ভ্রাম্যমাণ অভিযান, এমন অভিযানে সাধারণত নোটিশ দেয়া হয় না- এমন কথায় শাকিব খান বলেন, ‘বুঝলাম না এটা কেমন অভিযান? যারা অভিযানে এসেছিলেন, তাদের তো বোঝা উচিত ছিল, কার বাড়িতে অভিযানে যাচ্ছি!’
তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার হয়ত বাড়ির বারান্দা এক ফিট বাড়িয়েছেন। বিষয়টি নোটিশ দিয়ে বললেই তো হতো।
দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার কথা জানিয়ে শাকিব বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন সবার জন্য সমান হোক। আজ এসে ১০ লাখ টাকা চাইল। আগামীকাল এসে অন্য কেউ অভিযান করে বলবে- ২০ লাখ টাকা দেন, নইলে জেল দেব- এটা কি ধরনের আইন ? এটা ঠিক না। এখানে শাকিব খানের ইমেজের বিষয়টি জড়িত- এটা তাদেরও খেয়াল রাখা দরকার। (সূত্র: সময় টিভি)
এসকে/রাতদিন