লালমনিরহাটে পুলিশের মেয়ের প্রেমে পড়ে অতীষ্ঠ প্রেমিক, জীবন বাঁচাতে থানায় জিডি

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে এক পুলিশ সদস্যের মেয়ের প্রেমে পড়ে ওই প্রেমিক যুবক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সময়ে দেন দরবার করেও মুক্তি না পেয়ে শেষপর্যন্ত থানায় জিডি করেছেন ভুক্তভোগী ওই যুবক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,  ভুক্তভোগী আব্দুল কুদ্দুসের প্রতিবেশী আরফিনার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৭ সালে আরফিনার পরিবারের অমতে তারা বিয়েও করেন। কুদ্দুস উপজেলার দক্ষিণ বালাপাড়া কুটিরপাড় এলাকার জোবায়দুল ইসলামের ছেলে এবং আরফিনা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে।

পরবর্তীতে আরফিনার পরিবার সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় বিয়ে ভেঙে যায়। এর জেরে আরফিনার ভাই মশিয়ার রহমান ও মিজানুর রহমান জীবন নাশের হুমকি, মিথ্যা মামলা দায়েরসহ  নানাভাবে হয়রানি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেন কুদ্দুস।

এর আগে তাদের করা একটি মিথ্যা মামলায় ৮৫ দিন কারাভোগ করতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুল কুদ্দুস।

ভূক্তভোগী আব্দুল কুদ্দুস জানান, প্রতিপক্ষ মশিয়ার রহমান পুলিশে চাকরি করেন। তাই কথায় কথায় আমাকে পুলিশি হয়রানি করছে। কিছুদিন আগেও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়েছিল- আমি নাকি মাদকের সঙ্গে জড়িত। যদিও পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সুপারিশে ছাড়া পাই।

তিনি আরও জানান, লালমনিহাটের বদলীকৃত এসপি এস এম রশিদুল হকের শরণাপন্ন হলে, তার হস্তক্ষেপে নির্যাতন ও হয়রানি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিলো। তবে সম্প্রতি ওই এসপি বদলি হওয়ার পর আবারো নির্যাতন শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কুদ্দুস।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মশিয়ার রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগের অনুলিপির প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

জেএম/রাতদিন