কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মসজিদের ইমাম খোকন মিয়া ওরফে মিজানুর রহমানকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টার মামলায় ময়না আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় তার ছোট ভাই মনির হোসেনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ময়নাকে দুই লাখ ও মনিরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ রোববার, ২২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই পূর্বভরাটি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান পেশায় ইমাম ছিলেন। তিনি কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর কোনাপাড়া গ্রামের সাবেদ আলী ও নূরচান মেম্বারের পারিবারিক মসজিদে ইমামতি ও মক্তবে শিক্ষকতা করতেন।
২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট রাতে উসমানপুর এলাকায় বাজরা-চৌমুড়ি পাকা রাস্তার পাশ থেকে ইমাম মিজানুর রহমানের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই মো. নূরুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দণ্ডপ্রাপ্ত ময়না আক্তার ও তার ছোট ভাই মনিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনার দিন গভীর রাতে ঘরে ঢুকে প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তারকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইমাম মিজানুর রহমান। এ সময় ময়না লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাস রোধ করে মিজানকে হত্যা করেন। পরে ময়নার ছোট ভাই মনিরের সহযোগিতায় লাশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে একটি পরিত্যক্ত জায়াগায় ফেলে রাখেন।
এবি/রাতদিন