করোনার প্রাদুর্ভাবে গত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা ব্যাক্ত করছেন লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার, ৩১ মার্চ এসব তথ্য জানান বুড়িমারী কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সুত্রমতে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গেল বছর সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়। এর প্রভাবে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে গত অর্থবছরে নির্ধারিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বুড়িমারী কাস্টমস কতৃপক্ষ। বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানী -রপ্তানি একেবারে কমে যায়। ফলে ১০৪ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৫৬ কোটি ৭২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৮ কোটি ১৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা কম অর্জিত হয়েছে।
তবে চলতি অর্থ বছরে সেই লক্ষ্যমাত্রা ২২ কোটি টাকা কমিয়ে ৮২ কোটি ২১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে গত ফেব্রুয়ারি পযন্ত অর্জিত হয়েছে ৬৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭৬ ভাগ। অন্যদিকে এই অর্থবছরের এখন ৪ মাস বাকী রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
অন্যদিকে একটি আশংকার কথা জানিয়েছে সুত্রটি। তারা জানায়, বুড়িমারী স্থলবন্দরে বর্তমানে অতিরিক্ত শুল্কের কোন পণ্য আসছে না। যেসব পণ্য আসছে তার অধিকাংশ কম শুল্কের। এসব পণ্যের অধিকাংশ ভুটানের। অতিরিক্ত শুল্কের প্লাইউড, কসমেটিকস, রেজিন, মসলা সহ কিছু পণ্য এলেও অধিকাংশ বোল্ডার পাথর এবং লাইম স্টোন ডোলোমাইট পাউডার আসছে।
বুড়িমারী সি অ্যান্ডএফ’র একটি সুত্র জানায়, বর্তমানে আমদানী রপ্তানীতে কোন সমস্যা নেই। তবে র্যাপ সীড নিয়ে যেসব ভারতীয় ট্রাক বন্দরে ঢুকছে এসব পণ্যে পরিবহনের জন্য কোন বাংলা গাড়ি (বাংলাদেশী ট্রাক) পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। নির্দিষ্ট সময়ে পরিবহন করতে না পারায় টন প্রতি ৪০ টাকা করে জরিমানা দিতে হচ্ছে স্থলবন্দর কতৃপক্ষকে।
এ বিষয়ে বুড়িমারী কাস্টমসের সহকারী কমিশনার কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছি। অফিসে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। বন্দরে যেসব পণ্য প্রবেশ করছে তার প্রতিটি পণ্যের ছাড়পত্র দেয়ার আগে পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট করা হচ্ছে। ব্যাংক স্ক্রল ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি অনিয়ম পরিহারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।