পাটগ্রামে ৫ম শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার, গর্ভপাত চেষ্টার পর ধর্ষক গ্রেপ্তার

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌর এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়া এক  মাদরাসা ছাত্রীর গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গর্ভপাত ঘটাতে মেয়েটিকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। ১৪ বছর বয়সী ওই ছাত্রী ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।

আজ শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ধর্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল পাটগ্রাম থানায় ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতের দায়ে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বড় ভাই বাদি হয়ে এই মামলা করেন।

থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দিন  রাতেই ধর্ষক রাব্বি ইসলামকে (২০) গ্রেপ্তার করে।  রাব্বি পাটগ্রাম পৌরসভার বেংকান্দা গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রীর বাবা প্রায় ৫ বছর পূর্বে মারা যায়। ফলে সে তার বড়ভাই’র কাছে থাকতো। তার বড় ভাই বিভিন্ন হাট-বাজারে ভ্রাম্যমান ঝালমুড়ির দোকান করে সংসার নির্বাহ করে। মেয়ের মা হোটেলে কাজ করে।

অভিভাবক দুজন কাজে যাওয়ার সুবাদে দিনের বেলায বাড়ি ফাঁকা থাকায় প্রতিবেশী রাব্বি ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে গত ২০ মার্চ রাব্বি মেয়েটিকে জোর করে গর্ভপাতের ঔষুধ খাওয়ায়। এতে ওই ছাত্রী গুরতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে গত ২২ মার্চ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

সেখানে পরীক্ষা- নীরিক্ষা করে চিকিৎসক জানায় ছাত্রীটি ৬/৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্তা। পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি সব ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ভাই থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রাব্বি ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত জানান, ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতের মামলায় রাব্বি ইসলামকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ শুক্রবার, ০৯ এপ্রিল আদালতের মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’  

মতামত দিন