পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’-এ স্লোগানে এবারের পুলিশ সপ্তাহ শুরু হলো।
রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি প্যারেডে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল, দৃষ্টিনন্দন প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করছেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানস্থলে এসে দৃষ্টিনন্দন প্যারেড পরিদর্শন করেন।
বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার মো. ছালেহ উদ্দিন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নেন।
দ্বিতীয় দিনের (সোমবার) কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— শিল্ড প্যারেডের ফাইন প্রতিযোগিতা, প্রীতিভোজ, সন্ধ্যায় অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী।
তৃতীয় দিন (মঙ্গলবার) সকালে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বিকালে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সম্মেলন এবং সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
২৬ জানুয়ারি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ সপ্তাহের শেষ দিন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বিকালে উচ্চপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সম্মেলনের মাধ্যমে সপ্তাহের কার্যক্রম শেষ হবে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের দরবার এবার করোনার কারণে বাতিল করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানানো হবে। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া উপস্থাপন করা হবে।
পুলিশ সপ্তাহের অন্যতম আকর্ষণ হলো বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) প্রদান। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন না হওয়ায় এবার ২০২০ ও ২০২১ সালের বিপিএম-পিপিএম পদক একসঙ্গে দেওয়া হবে। মোট ২৩০ পুলিশ কর্মকর্তা বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন।
প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রী এ পদকসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রদান করেন। এবারও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক তুলে দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।