রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে সকালের নাস্তা। সেইসঙ্গে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে এবং সারাদিন সতেজ ও সজীব থাকতে সকালের নাস্তার বিকল্প নাই।
সকালের নাস্তা করলে শরীরে কোনো ক্লান্তি স্পর্শ করতে পারে না। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু নিয়মিত সকালের নাস্তা করে তারা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে।
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলের সঙ্গে সকালের নাস্তার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা নিয়ে গবেষণা করেন যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
গবেষণায় দেখা যায়, ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী সকালের নাস্তা না খেয়েই ক্লাস করে, ১৮ শতাংশ মাঝে মাঝে নাস্তা করে এবং ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত নাস্তা করে ক্লাস করে।
গবেষক ক্যাটি অ্যাডলফাস গবেষণা শেষে জানান, যেসব শিক্ষার্থী নাস্তা খেয়ে ক্লাসে আসতো তারা অন্যদের চেয়ে পরীক্ষায় ১০.২৫ পয়েন্ট বেশি নম্বর পেয়েছে।
সকালের নাস্তা ছাড়াও সামাজিক-অর্থনৈতিক, লিঙ্গ, বয়স এবং বিএমআইয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল কিছুটা নির্ভর করে।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল চাইলে অবশ্যই সকালের নাস্তা খাওয়ার বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে। সকালের নাস্তায় সবজি খিচুড়ি, ডিম, আটার রুটি, দই, সালাদ, ফলসহ প্রোটিন এবং আঁশযুক্ত খাবার বেশি রাখতে পারেন। তবে খাবার তালিকায় লবণ এবং চর্বিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব কম রাখা উচিত।
এনএইচ/রাতদিন