ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের জিহাদিরা সিরিয়ায় ৩৫ জন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। নিহত দামেষ্কের ওই যোদ্ধাদের মধ্যে সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা রয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এটিকে আইএসের সবচেয়ে মারাত্মক অপারেশন হিসাবে বর্ণনা করেছে একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা। খবর এএফপির।
শনিবার,২০ এপ্রিল ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এই ঘটনাকে আইএস এর ‘খিলাফত’ পতনের পর সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে অভিহিত করেছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় হমস প্রদেশের পূর্ব মরুভূমিতে চার উর্ধতন সিরিয়ার সেনা কর্মকর্তা ও সৈন্যবাহিনীর অপর ৩১ জন সদস্য এ হামলায় নিহত হয়।
আইএসের মুখপাত্র আমাক জানিয়েছে, গত মাসে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর কাছে “খিলাফত” এর সর্বশেষ এলাকা হারালেও আইএস সিরিয়া ও ইরাক উভয় অঞ্চলে মরুভূমি ও পাহাড়ের লুকানো জায়গাগুলি ধরে রেখেছে। আমাকের দাবী, আইএস যোদ্ধারাই এই অপারেশনটি পরিচালনা করেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেশী দেইর ইজোর প্রদেশে আলাদা আলাদা হামলায় অন্য ২ জন কর্মকর্তাসহ ৮ সৈন্য ও মিলিশিয়া নিহত হয়েছেন। যার দায়ও স্বীকার করেছে আইএস।
ব্রিটেন ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক ওই সংস্থার মতে, মায়েদেন শহরের দক্ষিণে একটি মরুভূমি গ্রামকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিলো। যে অঞ্চলকে আইএস তার “খিলাফতের” জন্য একটি দুর্দান্ত শেষ অবস্থান বলে দাবী করছে।
পর্যবেক্ষক দলের প্রধান রামী আব্দেল রহমান বর্ণনা করেছেন যে, খিলাফতকে পরাজিত ঘোষণার পর এটিই “সর্ববৃহৎ আক্রমণ এবং সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।”
সিরীয় বাহিনীর পাশাপাশি এ সংঘর্ষে ছয়জন আইএস যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, খিলাফত পতন হলেও আইএস পুরো নির্মূল হয়নি। ক্রমাগত অনুসন্ধানের মাধ্যমে মরুভূমির এইসব গোপন স্থান থেকে তাদের প্রত্যাবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করতে হবে।
আরআই/রাতদিন