গ্রাহকের সাথে কথা বলতে বলতেই মৃত্যুর কোলে নারী ব্যাংকার, ভিডিও ভাইরাল

অফিসে কর্মরত অবস্থায় আকস্মিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গহর জাহান নামে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তা। গত ২৬ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর উত্তরাস্থ প্রাইম ব্যাংকের কার্যালয়ে তার মৃত্যু হয়। গহর জাহান ব্যাংকটির একজন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া তার মৃত্যুর ভিডিওটি ইতোমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একজন নারী গ্রাহক ওই নারী কর্মকর্তার ডেস্কে আসেন তার কাজের জন্য। নারী গ্রাহকের কাছ থেকে একটি কাগজ হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছিলেন গহর জাহান।

এ সময় ব্লু শার্ট পরিহিত ব্যাংকের এক অফিস সহকারী একটা হালকা গোলাপি রঙের রিসিপ্ট পেপার দিলে তা হাতে নিয়ে দেখতে থাকেন। রিসিপ্টে কিছু মিসিং থাকায় সেটি নিজের কাছে নিয়ে নেন ওই নারী গ্রাহক। এসময় হাতের কাজ শেষ করে ফাইলটি বন্ধ করে তাকে একটা কলমও দিতে দেখা যায়। নারী গ্রাহকটিকে কলম দিয়েই অসুস্থতা বোধ করায় কপালে বাঁহাত দিতে দেখা যায় গহর জাহানকে। এসময় কম্পিউটারেও কাজ করছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে গ্লাসে পানি নিয়ে তা থেকে তিনবার পান করেন তিনি। এছাড়া কয়েকবার গালে, নাকে-মুখে, চোখে হাত দিতে দেখা যায় তাকে। পরে হঠাৎ করেই টেবিলে মাথা রেখে নুইয়ে পড়েন ৪৩ বছর বয়সী গহর জাহান।

ওই নারী গ্রাহকটি আসার ২ মিনিটের মধ্যে ঘটে যায় এসব ঘটনা। পরে তাকে ধরে চেয়ারে বসানোর চেষ্টা করেন সহকর্মীরা। কিন্তু উল্টো চেয়ার থেকে ফ্লোরে পড়ে যান। কিছুক্ষণ সেবা-শুশ্রূষা করে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালের নিয়ে যান।

ভিডিও দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন

এ বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (জনসংযোগ) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খুবই শোকাহত। কাজ করা অবস্থায় একজন সহকর্মীর মৃত্যু আমাদের ব্যাংকের সবাইকে মর্মাহত করেছে।’

জানা গেছে, গহর জাহানের গ্রামের বাড়ি রাজশাহী শহরের মহিষবাথান এলাকায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ২০০১ সালে ব্যাংকের চাকরিতে যোগ দেন তিনি। অবিবাহিত গহর জাহান থাকতেন বড় ভাই মারুফ নেওয়াজের সঙ্গে তার উত্তরার বাসায়।

মারুফ নেওয়াজ বলেন, কাজ করার মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সহকর্মীরা তাকে শুশ্রূষা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে।

জেএম/রাতদিন