চাঁদের অন্ধকার দিকে সম্ভবত হারিয়ে গেল চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রম। এখনও সম্ভবত বলতে হচ্ছে কারণ বিজ্ঞানীদের ক্ষীণ আশা, নির্ধারিত জায়গায় বদলে হয়তো অন্য কোথাও বিক্রম সফট ল্যান্ডিং করেছে। অরবিটর তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে সেই জায়গার সংকেত ধরতে পারলেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন হবে।
বিজ্ঞানীদের আরেকদল অবশ্য বলছেন, সফট ল্যান্ডিংয়ের ৪ ঘণ্টা বাদে ৫টা ১৯ মিনিটে ল্যান্ডার বিক্রমের ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়ার কথা রোভার প্রজ্ঞানের। ৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তার ছবি পাঠানোর কথা। কিন্ত সেই ছবিও ইসরো পায়নি। সব মিলিয়ে চাঁদের অন্ধকার দিকে এখনও কোনো আশার আলো দেখেনি ইসরো।
চাঁদের মাটি থেকে তখন ল্যান্ডার বিক্রম মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরে। সময়ের হিসাবে ৭ সেকেন্ড। ফাইনাল কাউন্টডাউন চলেছে। তখনই ইসরোর কন্ট্রোল রুমে কম্পিউটারের মনিটরের পর্দা থেকে হারিয়ে যায় বিক্রম।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি কক্ষপথ থেকে মহাকাশে বিক্রম ছিটকে যায় তাহলে হয়তো তাকে আর খুঁজে পাওয়াই যাবে না। কিন্তু যদি যান্ত্রিক কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে তাহলে হয়তো আবার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।
তবে হাল ছাড়ছেন না ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শনিবার সকালে ইসরোর কন্ট্রোল সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বিজ্ঞানে ব্যর্থতা বলে কিছু হয় না। শুধু, পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর প্রচেষ্টা থাকে।
খুব তাড়াতাড়ি নতুন ভোর আর উজ্জ্বল আরেকটা দিন দেখবে ভারত। এ প্রত্যাশা প্রত্যেক ভারতীয়র।