নীলফামারীর জলঢাকা পৌর শহর এখন জলাবদ্ধতার শহরে পরিণত হয়েছে। ফিবছর বাজেট-উন্নয়ন সহ নানামূখী কর্মসূচীর কথা কাগজে-কলমে থাকলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জনসাধারণকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।
জানা যায়, জলঢাকা সদর ইউনিয়ন ২০০১ সালে পৌরসভায় উন্নীত হয়। উন্নীত হবার পর যা উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে তারপর দৃশ্যমান তেমন উন্নয়ন হয়নি। ফলে একটু বৃষ্টিতেই শহর এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, তাতে বাদ যায়না সরকারী বিভিন্ন দপ্তরও।
সরেজমিন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,প্রাণি সম্পদ কার্যালয়, খাদ্য গুদাম,থানা,সাব-রেজিস্টার অফিস যেন হাটু পানি ভেঙ্গে মানুষ তাদের দাপ্তরিক কাজগুলো সারছে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
এসময় পৌর এলাকার বাবলুর রহমান,আতিয়ার ও রশিদুল ইসলাম জানান, চারিদিকে উন্নয়নের চিত্র চোখে পড়লেও আমাদের পৌর এলাকার চিত্র ভিন্ন। সমস্যার কথা আর কি বলব ? বর্ষা আসলেই আমাদের দুর্ভোগ বাড়ে। দেখার কেউ নাই। তাই হাঁটু পানি ভেঙ্গে হাসপাতাল,পশু হাসপাতাল আর সাব-রেজিস্টার অফিসে যেতে হয়।
এবিষয়ে সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা বণিক সমিতি সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বাবলু বলেন, আমার সময়কালে পৌরসভাবাসী জলবদ্ধতা অনুভব করতে পারেনি। সকাল হতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে পানি নিস্কশনের পথ তৈরী করে দিয়েছি। এখনও উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার(ভূমি) স্যারের সাথে পানি বের করে দিতে একখানে যাচ্ছি।
পৌর প্যানেল মেয়র রুহুল আমিন বলেন, আমি নিজেই পানিতে হেটে বেড়াচ্ছি। আর জলাবদ্ধতার কথা কি বলব ?
জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন, পৌর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপক সংকট রয়েছে। যার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নাগরিকদের দুর্ভোগ হতে রক্ষা করতে পৌরসভাকে অচিরেই পানি নিস্কশনের জন্য উপযোগি ড্রেন নির্মাণ করতে হবে।
জলঢাকা পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট বলেন, পানি নেমে যাবার রাস্তার চেয়ে পানি বেশি হলে তো জলাবদ্ধতা হবে। ভোর হতে অবিরত মুষলধারায় বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া পানি নামার রাস্তায় মানুষজন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলে জলাবদ্ধতা হত না। বর্ষা সেরে গেলে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উপর জোর দিব।
জেএম/রাতদিন