তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্কের আওতায় আসছে দেশের সব আদালত। এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের বক্তৃতায় এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী অসুস্থ থাকার ফলে, তার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আগামী অর্থবছরে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলে জাতীয় বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, মামলা ব্যবস্থাপনায় আরও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ই-জুডিশিয়ারি কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সকল আদালতকে আইসিটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করার জন্য ঢাকায় একটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে এবং ৭টি বিভাগীয় শহরে আরও ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপিল বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আপিল বিভাগে ৪টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৩০টি এজলাসসহ চেম্বার নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে। সুপ্রিম কোর্টসহ অধস্তন আদালতসমূহের সকল কার্যক্রমকে অটোমেশন এবং নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। অধস্তন আদালতসমূহের বিচারাধীন মামলার বর্তমান অবস্থা শুনানির তারিখ, ফলাফল এবং পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন বেলা ৩টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট প্রস্তাব পাঠ করলেও পরে তিনি অসুস্থ বোধ করায় তার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট উপস্থাপন করেন।
এনএইচ/ রাতদিন