ভারতের উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিক ও তার বন্ধুকে স্যানিটাইজার ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেও রয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছিল। তবে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় পূর্ব পরিকল্পিত খুন বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
‘রাষ্ট্রীয় স্বরূপ’ নামে লখনউয়ের একটি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক রাকেশ সিংহ নির্ভীক (৩৭)। তাঁর বাড়ি বলরামপুরে। গত শুক্রবার তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন বন্ধু পিন্টু সাহু (৩৪)। ওই দিন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেসহ তিনজন রাকেশের বাড়িতে ঢুকে রাকেশ ও পিন্টুর গায়ে স্যানিটাইজার ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পিন্টুর। রাকেশকে লখনউয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কয়েক ঘণ্টা পর তিনিও মারা যান।
গতকাল সোমবার, ৩০ নভেম্বর পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে রিঙ্কু মিশ্র, আকরাম আলী ও তাদের বন্ধু ললিত মিশ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বলরামপুরের পুলিশ সুপার দেবরঞ্জন বর্মা বলেন, ‘খুনের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় আমরা বুঝতে পারি, এটা একটা ষড়যন্ত্র। খুনের পিছনে দু’টি উদ্দেশ্য ছিল— নির্ভীকের সাংবাদিকতা এবং দেনা-পাওনা নিয়ে পিন্টু ও রিঙ্কুর মধ্যে বিবাদ’।
পুলিশ বলছে, তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের আগে রাকেশ ও পিন্টুকে জোর করে মদ্যপান করায় দুবৃত্তরা। দুর্ঘটনা বলে চালানোর জন্যই এটা করা হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা রাকেশের একটি ভিডিও ছড়িয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। তাতে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ওই পঞ্চায়েত প্রধান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই খবর করছিলেন তিনি।
মৃত্যুর আগে ভিডিওতে ওই সাংবাদিক বলেছিলেন, ‘সত্য ঘটনাকে সামনে আনার এটাই মূল্য’। সূত্র: আনন্দবাজার
এবি/রাতদিন