ধেয়ে আসছে প্রচন্ড গতির ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনি’

বাড়তি উষ্ণতা, বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এরইমধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে; যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ইতিমধ্যে দেয়া এই ‘ফেনি’ নামের ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৪-৫ মে উপকুলে আঘাত হানতে পারে। এসময় এর গতিবেগ থাকতে পারে ১১৫-১২০ কিলোমিটার। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (বিএমডি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয় করে ফেনি নামের এই ঘূর্ণিঘড় আগামী ৪-৫ মে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। বঙ্গোপসাগরে শ্রীলংকার দিকে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপের রেখা দেখা গেছে। এটি পরিণতি পেলে হয়ত গরম কমবে। তবে আতঙ্কের দিক হল- এটি ১১৫-১২০ কিলোমিটার বেগে বাতাসসহ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

যদিও এটি বাংলাদেশে আঘাত হানবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়, তবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই লঘুচাপ রেখা এন্টি ক্লকওয়াইজ (ঘড়ির বিপরীত দিক) পদ্ধতির হিসাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আরাকান এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অবশ্য এর গতিপথ সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর। তারা বলছেন, ভারতের দক্ষিণের তামিলনাড়ু থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলে কম-বেশি এর প্রভাব পড়বে। আগামী ৪-৫ মে নাগাদ এটি উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের মতে, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে পর্যন্ত এ গরম অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সারাদেশের তাপমাত্রা শুক্রবারও বাড়তে পারে। গতকাল বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল দুপুর সোয়া ২টার দিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এসকে/রাতদিন