করোনাকাল হওয়ায় পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশে সংসদে উত্থাপিত বিলটি পাস হয়েছে।
রোববার, ২৪ জানুয়ারি সংসদের একাদশ অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’ ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ পাসের প্রস্তাব করেন। পরে স্পিকার ডা. শিরীন শারমিন চৌধুরী আইনটি ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
সংসদ সদস্যদের দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এইচএসসি সমমানের ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ আইনের ওপর সংসদে আলোচনা চলছে।
বিলটির ওপর আলোচনায় রোববার জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তুতি শেষের পর ক্লাস শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শুরুতে নিয়মিত ক্লাস হবে, অন্য শ্রেণির সপ্তাহে একদিন করে।
গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বিল তিনটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করে তা পাসের সুপারিশ করেন। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়ার পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সংশোধিত বিলে পরীক্ষা ছাড়াই বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশের বিধান রাখা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সংসদে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১ সংসদে উত্থাপন করেন।
পরে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন বিলটি একদিনের মধ্যে এবং বাকি দুটি দুদিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো এসব বিল দ্রুত পাস করে ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, বিলটি গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার তিন দিনের মধ্যে ফল প্রকাশে সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এনএ/রাতদিন