লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে এক যুবক ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এই সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে এ বছরে এটি তৃতীয় মৃত্যুর ঘটনা।
শনিবার, ১২ ডিসেম্বর রাতে রংপুরের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে মারা যান ওই যুবক। তার নাম আবু তালেব (৩২)। তিনি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর ডাঙ্গিরপাড় গ্রামের কমর উদ্দিন ওরফে শাহীনের ছেলে।
এর আগে সীমান্তে গরু পারাপারকারী ওই যুবককে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে গোপনে রংপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। দুই দিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
থানা পুলিশ, সীমান্ত সূত্র ও এলাকাবাসি জানায়, গত ১০ ডিসেম্বর ভোরে সীমান্তের ৮৪৪ নম্বর মেইন এলাকায় গরু পারাপারকারীদের ৫/৬ জনের একটি দল ভারত থেকে গরু আনতে যায়। ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বাংলাদেশে গরু আনার সময় ভারতের ১৪৮ চ্যাংরাবান্ধা বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পানিশালা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে।
এতে গুরুতর আহত হয় তালেব। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তার সঙ্গীরা গোপনে রংপুরের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’দিন পর শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
পাটগ্রাম থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে রোববার, ১৩ ডিসেম্বর সকালে ময়না তদন্তের জন্য লালমনিরহাট মর্গে প্রেরণ করে।
বুড়িমারী বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
পাটগ্রাম থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে আবু তালেবের বড় ভাই আবু ছায়েদ একটি মামলা দায়ের করেছে।
রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোজাম্মেল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
প্রসংগত, চলতি বছরের জানুয়ারী ও জুন মাসে পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশী মৃত্যুবরণ করে।
জেএম/রাতদিন