লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় জ্বর, মাথা ও শরীর ব্যাথা প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্যারাসিটামল সিরাপ জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনরা।
চিকিৎসকের পরামর্শপত্র থাকা সত্ত্বেও ওষুধের দোকানগুলোতে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হচ্ছে রোগীর পরিবারের স্বজনেরা। ওষুধ কিনতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছে রোগাক্রান্ত ব্যক্তি এবং শিশুদের অবিভাবকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত ভাইরাস জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বিগত বছর গুলোর তুলনায় এ বছরে অধিক হওয়ায় প্যারাসিটামল জাতীয় শিশুদের খাওয়ার সিরাপ, ট্যাবলেট, সাবোজিটরী ওষুধের চাহিদা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা ওষুধের চাহিদা উল্লেখ করে ওষুধ সরবরাহের অর্ডার দিলেও ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের ওষুধ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম সরবরাহ করছেন।
তবে রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, কিছু ঔষধ ক্রিতা চড়া দামে এ সকল ওষুধ বিক্রয় করছেন।
এ বিষয়ে দুইজন ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, ‘ প্রায় গত পনেরো দিন যাবত প্যারাসিটামল সিরাপ জাতীয় ওষুধ চাহিদার তুলনায় যোগান দিতে পারছি না। মূলত এ বছর রোগের প্রকোপ বেশি। আশা করা যাচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যে এ সমস্যা আর থাকবেনা।’
এরকম ভুক্তভোগী ক্রেতাদের একজন বাউরা ইউনিয়নের হোসেনুরজ্জামান সরকার হোসেন। তিনি জানান , ‘গতকাল আমার মেয়ের জন্য প্যারাসিটামল সিরাপ জাতীয় ওষুধ কিনতে প্রায় দশটি দোকান ঘুরেও ওষুধ পাইনি। শেষে পঁচিশ টাকার ওষুধ পঞ্চাশ টাকায় কিনেছি।’
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নুর আরেফিন প্রধান জানান,‘ আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট নেই। কিন্তু বাজারের প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই।’