প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিকে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ আর ইবতেদায়িতে ৯৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব তথ্য তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ আর ইবতেদায়িতে ৯৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন, ইবতেদায়িতে ১১ হাজার ৮৭৭ জন।
এবার সমাপনীতে মোট ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৫১ জন অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৩ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। উত্তীর্ণদের মধ্যে ১০ লাখ ৭২ হাজার ১৫৪ জন ছাত্র ও ১২ লাখ ৭১ ৫৮৯ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন। এদের মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৪১ হাজার ৪৫১ ও ছাত্রী এক লাখ ৮৪ ৬৩৭ জন।
অন্যদিকে ইবতেদায়িতে এবার তিন লাখ চার হাজার ১৭৮ জন অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৬ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ছাত্র সংখ্যা এক লাখ ৫০ হাজার ৮৩৫ জন ও ছাত্রী এক লাখ ৪১ হাজার ৪০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৭৭ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৫৬৮৫ জন ও এক হাজার ১৯২ জন ছাত্রী।
ফল বিশ্লেষণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, এবার ইবতেদায়ি পরীক্ষায় ছাত্রদের সংখ্যা বেশি হলেও গড় পাসের দিক থেকে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। ছাত্রদের পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৯৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ পাসের হার বিবেচনায় ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় দেশের আট বিভাগের মধ্যে রাজশাহী বিভাগ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এ বিভাগে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। নওগাঁ জেলায় পাসের হার শতভাগ।
তিনি আরও বলেন, এবার সারাদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ২৪০ জন এবং ডিআরভুক্ত হয়ে ২১৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে ১৯৭ জন পাস করেছে। তার মধ্যে ছাত্র ১১৪ জন এবং ছাত্রী ৮৩ জন। এ স্তরে পাসের হার ৯২ দশমিক ০৬ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন, অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির, মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা প্রমুখ।