ঋণ খেলাপী, বিধি অনুযায়ী হলফ নামা দাখিল না করাসহ নানা কারণে বিএনপি ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির ২ প্রার্থীকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা জি.এম সাহাতাব উদ্দিন এ তথ্য জানান।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সভা কক্ষে প্রেস ব্রিফিং এ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৯ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির তিন জনসহ ৭ প্রার্থী বৈধ রয়েছে।
বাকি দুইজনের মধ্যে বিএনপির মহানগর কমিটির সহ সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী কাওছার জামান বাবলাকে ঋণ খেলাপী ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির একরামুল হকের মনোনয়নে বিধি অনুযায়ী হলফনামা দাখিল না করায় অবৈধ হয়েছ।’
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম রাজু, জাতীয় পার্টির রাহগির আল মাহি সাদ, বিএনপির রিটা রহমান, স্বতন্ত্র হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল এই ৭ জনের বৈধতা রয়েছে।’
এদিকে অবৈধ হওয়া প্রার্থীরা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপিল করতে পারবেন বলে জানান তিনি। প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর। তার ১৮ দিন পর ৫ অক্টোবর হবে ভোটগ্রহণ।
উল্লেখ্য, রংপুর সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন এবং ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন নারী ভোটার। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে ইভিএমে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেই ভোটে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। এবারও ইভিএমে ভোট হবে।
এনএইচ/রাতদিন