রাখে আল্লাহ মারে কে! মায়ের প্রাণ গেলেও বাঁচলো ১ দিনের সন্তান

রাখে আল্লাহ মারে কে! কথাটি যে শুধু কথার কথা নয়, চিরন্তন সত্য, তাই যেন নতুন করে প্রমানিত হলো রংপুরের তারাগঞ্জে। গত বুধবার সকালে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় মা মারা গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে একদিন বয়সী কোলের সন্তান।

পরিবারের বরাত দিয়ে তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়েনের গিলাবাড়ী গ্রামের সাজু মিয়ার (৩৩) স্ত্রী সাথী আক্তার (২৮) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে বুধবার সকালে একটি এম্বুলেন্স যোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ওই দম্পতি।

সকাল পৌনে আটটায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জের বাছুরবান্দা এলাকায় ঢাকা থেকে আসা ঠাকুরগাঁওগামি ডিপজল পরিবহন এর একটি নাইট কোচের সামনের চাকা পাংচার হয়ে গেলে সেটি নিয়ন্ত্রন হারিে ফেলে। এতে বিপরীত থেকে আসা ওই এম্বুলেন্স এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়

ঘটনাস্থলেই মারা যান সাথী আক্তার ও তার মামাতো ভাই রব্বানী রহমান। কিন্তু অলৌকিকভাবে মায়ের কোলে থাকা ১ দিনের শিশু সন্তানটি বেঁচে যায়। আর গুরুতর আহত অবস্থায় নিহত সাথী আক্তারের মা ও স্বামী সাজুসহ চালককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এসআই সাইফুল ইসলাম আরও জানান, হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এম্বুলেন্স চালক রুবেল মিয়া। তবে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ওই একদিনের শিশুটি বেঁচে আছে।
বেঁচে যাওয়া সাজু আক্তারের ভাই সোহেল মিয়া জানান, সাথী ও সাজুর চার বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। ঘটনায় আমরা পুরো গ্রামবাসী হতবাক হয়েছি কি হবে এখন একদিনের ওই শিশু বাচ্চাটির।

হাসপাতfলে শিশুটির পাশে এখন আছেন নিহত সাথী আক্তারের মামাতো বোন রিক্তা। তিনি জানান, একদিনের এই বাচ্চাটি এখন শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে সে হয়তো জানেই না ‘মা’ নামের একটি শব্দ আছে। যেটি সে কোনওদিনও ডাকতে পারবে না।

রিক্তা জানান, আল্লাহ সাথী আক্তার কে তুলে নিলেও আমাদের মাঝে রেখে গেছে তার গর্ভের ছেলে সন্তান। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় রাখে আল্লাহ মারে কে?

জেএম/রাতদিন