লালমনিরহাট বিমানবন্দর এ বছরের মধ্যেই চালু হবে, হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় : সমাজকল্যাণমন্ত্রী

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমদে বলেছেন, দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা হবে লালমনিরহাটে।

আজ বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট বিকালে লালমনিরহাট বিমানবন্দর এলাকায় প্রস্তাবিত ক্যাম্পাসের জমি পরিদর্শন ও এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এসময় তাঁর সাথে ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান  এয়ার চিফ মার্শাল মাসিউজ্জামান সেরনিয়াবত এবং স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

বিমান বাহিনীর লালমনিরহাট ইউনিট কার্যালয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এয়ার চিফ মার্শাল মাসিউজ্জামান সেরনিয়াবত। বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম জি এম কাদের, এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক, লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানসহ লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় জায়গা নির্ধারণ করা হয়।

জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। লালমনিরহাটে ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এর সকল কার্যক্রম চলবে ঢাকায়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা ও নির্দেশে আজ আমরা এখানে এসেছি। তিনি চান অবহেলিত এ অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হোক। এজন্য বিমানবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ঢাকা থেকে চলতে পারে। কিন্তু মূল ক্যাম্পাস হবে লালমনিরহাটে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর বিষয়ে বিমানবাহিনীর প্রধানের সাথে কথা হয়েছে। এ বছরের মধ্যে এই বিমানবন্দরে দিনে অন্তত তিনটি অভ্যন্তরিণ বিমান চালু হবে’।

এর আগে মন্ত্রী, বিমানবাহিনীর প্রধানসহ একটি প্রতিনিধি দল বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে লালমনিরহাট বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষ বৈমানিক, বিমান প্রকৌশলী ও মহাকাশ গবেষণায় জনবল তৈরি করতে দেশে প্রথম অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে সরকার। এ বিদ্যাপিঠে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিমান ও আকাশ বিজ্ঞানের প্রকৌশল, আইসিটি ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হবে।

এবি/রাতদিন