লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রে বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় আরো ৮০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার, ৩ জুলাই ভোরে রাজধানীর ত্রিপোলির তাজৌরা এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়ে বিবিসি।
লিবিয়ার জরুরি বিভাগগুলোর মুখপাত্র ওসামা আলী জানিয়েছেন, হামলার সময় অভিবাসী আটককেন্দ্রটিতে ১২০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন।
নিহতের এ সংখ্যা প্রাথমিকভাবে গণনা করা এবং এটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ হামলার জন্য সাবেক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিকে (এলএনএ) দায়ী করেছে লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত জাতীয় ঐকমত্যের সরকার (জিএনএ)।
বিমান হামলাটি যেখানে হয়েছে, সেই তাজৌরা এলাকায় জিএনএর অনুগত বাহিনীগুলোর সঙ্গে এলএনএর লড়াই চলছে।
জিএনএ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ব্যাপক বিমান হামলার’ বদলা নেয়া হবে বলে এলএনএ সোমবার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এলএনএর এক মুখপাত্র অভিবাসীকেন্দ্রে তাদের হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
সম্প্রতি বছরগুলোতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে যাওয়ার প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে লিবিয়া।
এখানে হাজার হাজার ইউরোপে গমন প্রত্যাশীকে আটক করে এ ধরনের অভিবাসী আটককেন্দ্রগুলোতে রাখা হয়েছে। ত্রিপোলি কেন্দ্র করে লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বাহিনীর লড়াই সম্প্রতি এসব আটককেন্দ্রের এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
২০১১ সালে দেশটির সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যার পর থেকে লিবিয়ায় সহিংসতা বিরাজ করছে এবং দেশটি সরকার ও প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনীগুলোর মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হচ্ছে।
এবি/রাতদিন