পীরগঞ্জ পৌরসভার একটি জনগুরুত্বপুর্ন রাস্তার উভয়পাশে অবৈধভাবে দখলের পর নির্মিত দ্বিতল ভবনসহ বেশ কিছু আধাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে দিনব্যাপী ওই উচ্ছেদে অভিযান চলে।
এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং হাজারো উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পীরগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড থেকে থানা সড়কের পার্শ্ব সড়ক বৈশাখী হোটেল থেকে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মোড় পর্যন্ত সড়কটি পৌরসভার ওসমানপুর ও প্রজাপাড়ার মধ্য দিয়ে চলে গেছে। ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জনগুরুত্বপুর্ন এ সড়কের উভয়পাশে সম্প্রসারন ও পুনঃ নির্মানের জন্য পৌরসভা টেন্ডার আহবান করে। প্রায় ২১ লাখ টাকা বরাদ্দে মেসার্স সেতু কনষ্ট্রাকশনকে সড়কের ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়।
এদিকে স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি সড়কটির উভয়পাশের জমি দখল করে দ্বিতল ভবনসহ আধাপাকা ঘর নির্মান করায় সড়কটি সংকুচিত হওয়ায় ২ বছরেও কাজ সম্পন্ন হয়নি। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষ বারংবার নোটিশ দিলেও কেউই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। উল্টো মেসার্স তুহিন ট্রেডার্স’র স্বত্বাধিকারী মেসতার আলী গত ২৯ এপ্রিল হাইকোর্টে রীট পিটিশন (৪৬৩৩) করেন।
এরপর পৌর মেয়র রীটের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের আপিল করলে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিচারক রীট পিটিশনটি খারিজ করেন। ওই রায়ের প্রেক্ষিতে পীরগঞ্জের মেয়র রংপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আবেদন করলে গতকাল তা উচ্ছেদ করা হয়।
এ সময় ইউএনও টিএমএ মমিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউর রহমান মন্ডল, কাউন্সিলর আলমগীর, গাবুর আলী, সাইফুল আজাদ, কবিরুল, আশরাফুল ইসলাম, পবিত্র কুমার, আনজুয়ারা বেগম শিউলী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করার পর নির্বাহী ম্যাজিট্রেট নিয়োগ করে আজকে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, ‘পৌরসভা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আমাকে ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ জুলাই স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা উল্লেখিত সড়কটির বর্ধিতকরণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবীতে বাঁশের চাটাই সড়কে ঘেরা দিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছিল।
এনএইচ/রাতদিন