এবারের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ তাঁর কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল ধরে রেখেছে। লায়ন্স ক্লাব সৈয়দপুর ও লায়ন্স ক্লাব অব সৈয়দপুর গেটওয়ে কর্তৃক পরিচালিত এই কলেজটি এবারও ফলাফলের দিক থেকে সৈয়দপুর উপজেলায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। উপরন্তু এবারে কলেজটি শতভাগ পাশের গৌরব দেখিয়েছে। বেড়েছে শিক্ষার্থীদের জিপিএ – ৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও।
সৈয়দপুর উপজেলার ১৪টি কলেজের মধ্যে ফলাফলে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের অবস্থান তৃতীয়। গত বছর (২০১৮ সালে) এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কলেজটির অবস্থানও ছিল তৃতীয়। যদিও গত বছর কলেজটির পাশের হার ছিল শতকরা ৯৮ দশমিক ৪৯ ভাগ। এবারে তা শতভাগ অর্জন করেছে। আর গত বছর শহরের অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে দুই বিভাগে জিপিএ – ৫ পেয়েছিল মাত্র ২৪ জন। এবারে তা দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে। সে হিসেবে কলেজটির এবারের শতকরা পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি দুটোই বেড়েছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় এই কলেজ থেকে তিন বিভগে মোট ৪১৮জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এদের সকলেই উর্ত্তীণ হয়েছে।
তিন বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮জন। তন্মধ্যে বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থী ছিল ২১২ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ২৮ জন। মানবিকে ১২৪ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই পাশ করেছেন। এ বিভাগ থেকে একজন জিপিএ- ৫ পেয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৮২জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে সবাই উর্ত্তীণ হয়েছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন।
গত বছরের ফলাফল:
গত ২০১৮ সালে কলেজটি থেকে তিন বিভাগে পরীক্ষার্থী ছিল ৩৯৭ জন। পাশ করেছিল ৩৯১ জন। দুই বিভাগে জিপিএ – ৫ পেয়েছিল মাত্র ২৪ জন। আর জিপিএ-৫ ও পাশের দিক থেকে উপজেলায় অবস্থান ছিল তৃতীয়। এবারেও কলেজটি তাঁর কৃর্তিত্বপূর্ণ ফলাফল ধরে রেখেছে।
শতভাগ পাশ:
প্রসঙ্গত, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সৈয়দপুর উপজেলার ১৪ টি কলেজের মধ্যেশুধুমাত্র তিনটি কলেজ শতভাগ পাশের গৌরব অর্জন করেছে। এদের একটি হচ্ছে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ। আর অপর দুইটি হলো সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী কলেজ ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। এদের মধ্যে সরকারি কারিগরী কলেজের পরীক্ষার্থী ছিল ২৭৮জন এবং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের তিন বিভাগে পলীক্ষার্থী ছিল পাঁচ শত জন। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, কাকতালীয়ভাবে উভয় প্রতিষ্ঠান থেকে জিপি এ-৫ পেয়েছে ১৮৮জন করে পরীক্ষার্থী।
এবারের ফলাফল বিষয়ে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. নজরুল ইসলাম খান কিশোর তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ফলাফল সন্তোষজনক। তারপরও আমরা জিপিএ-৫ পাওয়া থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। আমাদের আরও বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থীর জিপিএ- ৫ প্রাপ্তির প্রত্যাশা ছিল।
আগামীতে কলেজের ফলাফল আরো ভাল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অধ্যক্ষ।