রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রামের দুই উপজেলাসহ দেশের ২৩টি জেলার ৭৩টি উপজেলাকে দুর্গম হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যোগাযোগে অসুবিধা ও ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্নতার বিবেচনায় ওই ৭৩ উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ভোটার তালিকা প্রণয়নে তথ্য সংগ্রহ, নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত কাজে ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও কাজের গতি বাড়ানোর জন্যই মূলত এই তালিকা করেছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে নিজস্ব কর্মকর্তাদের পাশপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের তথ্যও নেওয়া হয়েছে।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সহকারী সচিব মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে যে ৭৩টি উপজেলাকে দুর্গম বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো হলো:
কুড়িগ্রামের রৌমারি ও রাজিবপুর।
ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা, বরগুনার বেতাগী, পাথরঘাটা ও বামনা, বাগেরহাটের রামপাল, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, খুলনার বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, দাকোপ ও কয়রা, নোয়াখালীর হাতিয়া, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদীয়া, হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমেরীগঞ্জ ও লাখাই, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, ধর্মপাশা, শাল্লা, জামালগঞ্জ, দিরাই, বিশ্বম্ভপুর ও তাহেরপুর, কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠাইন ও অষ্টগ্রাম, বরিশালের হিজলা, মূলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা।
এ তালিকায় আরও রয়েছে নেত্রকোণার কলমাকান্দা, দূর্গাপুর ও খালিয়াজুরী, পটুয়াখালীর গলাচিপা, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও দশমিনা, সাতক্ষীরার আশশুনী ও শ্যামনগর, পিরোজপুরের কাউখালী, কুমিল্লার মেঘনা, , মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, মাদারীপুরের শিবচর, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, লক্ষ্মীছড়ি, খাগড়াছড়ি সদর ও দিঘীনালা, বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান সদর, রুমা ও লামা, রাঙামাটির নানিয়ার চর, বরকল, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি সদর, রাজস্থলী, লংগদু, কাউখালী, কাপ্তাই, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলা।
বিভিন্ন নির্বাচনে এসব এলাকায় পরিবহন ব্যয়সহ সামগ্রিক ব্যয় বাড়ে। তাই ব্যয় ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে দুর্গম এলাকার এ তালিকা করেছে ইসি।
এছাড়াও সাধারণ কোনো এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ করতে যতো সময় ও অর্থের প্রয়োজন, দুর্গম এলাকায় একই সময় ও অর্থে তা সম্ভব নয়। সেখানকার যোগাযোগ ও আপ্যায়ন ব্যয় বেশি। এছাড়া নির্বাচনের জন্য উপকরণ পরিবহন ব্যয়ও অনেক বেশি।
জেএম/রাতদিন