বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে কুড়িগ্রামে। কুড়িগ্রাম সদর, রৌমারী, উলিপুর, চিলমারী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বাড়তে থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে চরাঞ্চলের প্রায় ১৫০টি গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
রোববার, ১৯ জুন সকালে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটিার বেড়ে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।
বন্যার কবলে ক্লাশ রুম ও মাঠে পানি ওঠায় মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ভারি বর্ষণে কুড়িগ্রাম-রমনা রুটে কিছু কিছু স্থানে রেললাইনের মাটি ধসে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর পাট, তিল, ভুট্টা ও সবজিক্ষেত তলিয়ে যাওয়াসহ নষ্ট হচ্ছে মরিচক্ষেত।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেদুল হাসান জানান, দুর্গত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম এবং শুকনো খাবার বিতরণ শুরু হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যায় মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় ৯টি উপজেলার বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তার জন্য ২৯৫ মেট্রিকটন চাল, নগদ ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শুকনা খাবার এক হাজার প্যাকেট, শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৮লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ভান্ডারে ৮ লাখ টাকা এবং ৩০৮ মেট্রিক টন চাল বর্তমানে মজুদ রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নতুন করে পাঁচশত মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকা এবং ১০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।