ছেলের চাকুরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত বাতিল ও চাকুরি পুণর্বহালের দাবীতে রংপুরে আমরণ অনশন শুরু করছে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। চাকুরি ফেরত না দেয়া হলে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনসহ বেঁচে থাকাকালীন সকল রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা বর্জনের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে বিক্ষুব্ধ এই পরিবারের পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর সকালে রংপুর নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশনে বসেন মুক্তিযোদ্ধা রঙ্গলাল মহন্ত ও তার পরিবার।
মুক্তিযোদ্ধা রঙ্গলাল মহন্ত বলেন, তার ছেলে মুদ্রা/নোট পরিক্ষক সাধন চন্দ্র মহন্তের বিরুদ্ধে হিসেবের গড়মিলের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত না করেই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে কারণে আমার ছেলেকে চোর সাবস্ত্য করা হয়েছে। সেই একই অভিযোগ থাকা সত্বেও পুন: মুদ্রা নোট পরিক্ষককে লঘু শাস্তি দিয়ে চাকুরিতে বহাল রাখা হয়েছে। অথচ সাধন চন্দ্র মহন্তকে ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে ফেলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে কৌশলে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। যা মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তানের প্রতি অবিচার।
দ্রæত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ছেলেকে চাকুরিতে বহালের দাবিও জানান তারা। দাবি আদায় না হলে মৃত্যুর আগে এবং পরে সকল রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা বর্জনের ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধা রঙ্গলাল মহন্ত।
এদিকে চাকুরিচ্যুত হওয়া সাধন চন্দ্র মহন্তের দাবি, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুন:তদন্ত করলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। তিনি বলেন, আমি ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারী থেকে আমি সততার সাথে চাকুরি করে আসছি। এবছরের মে মাসে বান্ডিল করা প্যাকেট থেকে দুই দফায় মোটে এক হাজার পঞ্চাশ টাকা কম পাওয়ার যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে, এটা পরিকল্পিত। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রংপুর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলার রহমান কথা বলতে রাজি হননি। তবে তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর শাখার নির্বাহী পরিচালক গোলাম হায়দার বলেন, আমি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছিল, তা তদন্ত করে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জেএম/রাতদিন