পাটগ্রামে লবনের দাম বৃদ্ধির গুজব, রুখতে প্রশাসনের মাইকিং

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লবণের দাম বেড়েছে এমন গুজবের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে সেইসাথে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে হাট-বাজারগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে।

গতকাল সোমবার, ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে লবণের দাম পেঁয়াজের মত বেড়ে যাচ্ছে এমন গুজব চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে আজ দিনভর ক্রেতারা লবণ কিনতে ভিড় করেন পাটগ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকান গুলোতে।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সোমবার দিবাগত রাত থেকে পাটগ্রাম উপজেলায় লবণের কেজি ১০০ টাকা হবে এমন গুজব চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারনে সোমবার রাত থেকে পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লবণের পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় পড়েছে। দুপুরের মধ্যে অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী গোডাউন ও খুচরা ব্যবসায়ীর দোকান লবণ শূন্য হয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন দাম নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য বাজার মনিটরিং করার জন্য মাঠে নামে।

লবণ ক্রেতা বাউরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মেহের আলী ও মোছা. লাবলী বেগম বলেন, মানুষের কাছে শুনেছি লবণের কেজি ১০০ টাকা উঠবে। এজন্য ১ বস্তা করে লবণ কিনেছি। যাতে পরবর্তীতে বেশি দামে লবণ কিনতে না হয়।

এ বিষয়ে বাউরা বাজারের গালামালের দোকানদার মো. আবুল হোসেন সরকার বলেন, লবণের দাম বেড়েছে এই রকম গুজব গতকাল ছড়িয়ে পড়লে ক্রেতারা লবণ কিনতে বিভিন্ন দোকানে ভিড় করছে। কিন্তু  আমার দোকানে লবণের দাম আগের দামেই রয়েছে।

এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, লবণের মূল্যবৃদ্ধির গুজবের কারণে বিভিন্ন দোকানে ক্রেতাদের হিড়িক পড়েছে এ রকম খবর জানতে পেরেছি। খবর পেয়ে আমরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পাটগ্রামের বিভিন্ন বাজারে গিয়েছি। এই মুহূর্তে লবণের কোনো সংকট নেই। এ কারণে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনাও নেই। তারপরেও যদি কোন ব্যবসায়ী বা ডিলার গুজব ছড়িয়ে বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করে তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সন্ধ্যার দিকে প্রশাসেনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও গুজব রুখতে মাইকিং করা হয়।

এনএইচ/রাতদিন