রাজধানীর উত্তরা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ-ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব। অনুমোদন না থাকার পরও প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করায় কলেজটি। শুধু তাই নয়, কলেজের মধ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন গর্ভনিং কমিটির একজন সাবেক সদস্য। এক বছরের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসের যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় কলেজটির পাঠদান বাতিল করতে যাচ্ছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি এসব অনিয়মের ব্যাখ্যা লিখিতভাবে আগামী সাতদিনের মধ্যে দিতে অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন অর রশিদ চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, কলেজের অধ্যক্ষ ও গর্ভনিং বডির সাবেক এক সদস্যের দ্বন্দ্বে একাডেমিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হওয়ায় শিক্ষা বোর্ড কলেজের পাঠদানের স্বীকৃতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিজস্ব তদন্তে কলেজটির নানা অনিয়মের বিষয় প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে জানান কলেজ পরিদর্শক ।
শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন তদন্তে কলেজটিতে, প্রাথমিক পর্যায়ের কোনো অনুমতি না থাকার পরও উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে বিধিবহির্ভূতভাবে কলেজে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। যাতে বোর্ডের পাঠদান শর্তের ১০ নং ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই কলেজের স্থান পরিবর্তন করা, কলেজ সাবেক কমিটির একজন সদস্য কলেজের এক ভবনে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন যা বোর্ডের শিক্ষা অফিসারের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
এছাড়াও এক বছরের মধ্যে নিজস্ব ভবন নির্মাণ করে বোর্ডের অনুমতি নিয়ে ক্যাম্পাস স্থানান্তরের কথা থাকলেও তা করতে ব্যর্থ হয়েছে কলেজটি। তিন বছরের মধ্যে প্রথম অস্থায়ী স্বীকৃতি নেওয়ার বিধিবদ্ধ নিয়ম থাকলেও কলেজ তা নিতে পারেনি। কলেজের অধ্যক্ষ ও পূর্ববর্তী একজন সদস্য এস এম এইচ রশিদ বাবু পারস্পারিক দ্বন্দ্ব তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। কলেজে বিধি মোতাবেক যতজন শিক্ষক থাকার কথা তা এ কলেজে নেই।
এ অবস্থায় বোর্ডের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম প্রমাণিত ও পাঠদানের অনুমতির শর্ত পালনে ব্যর্থ হওয়ায় কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানের অনুমতি কেন বাতিল করা হবে না তার লিখিত জবাব চেয়েছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড।
এনএ/রাতদিন